ছোট্টদের জন্য অঙ্ক কেমন হবে?

দ্বাদশ শতাব্দীতে ভাস্করাচার্য্য তার কন্যার জন্য বই লিখেছিলেন। লীলাবতী। সেই বোধকরি শিশুপাঠ্য গণিতের আত্মপ্রকাশ। ঠিক কাদের উদ্দেশ্যে বই লিখেছেন আচার্য্য? উপক্রমণিকাতেই তিনি তা স্পষ্ট করেছেন।

তার উদ্দেশ্য হল, গণিতে 'चतुरप्रीतिप्रदां प्रस्फुटाम'।

অর্থাৎ বুদ্ধিমান পাঠকের হৃদয়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ এবং ভালোবাসা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে লেখকের প্রধান উদ্দেশ্য।

অতএব এই গ্রন্থ সব্বার জন্য নয়। যে ছেলে মেয়ের গণিতে মোটেই মগজ চলে না, ভাস্কর তাকে শেখাতেও তেমন আগ্রহী নন। বরং তিনি চান চালাক চতুর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মাথা ঘামাতে।

কেউ কেউ ঐশ্বরিক কণ্ঠসম্পদ নিয়ে জন্মান। কেউ বা নিতান্ত বেতালা। শিক্ষক যেন ঠিক করেছেন, প্রকৃত গুণি শিষ্যকেই ঠাঁই দেবেন তার গানের পাঠশালায়। সাধারণের অধিকার সেখানে নেই।

এই এলিটিজম ভারতের ইতিহাসে প্রোথিত। জাতিভেদের মূলেও এই ভাবনা। কেউ জন্মগত ভাবে উচ্চ শ্রেণীর। কেউ বা অন্তজ।

ভুতানের অঙ্কের খাতায় তেমন জাতিভেদ নেই। খাতাটা অঙ্কের কিনা তা নিয়েও কেউ সন্দেহ প্রকাশ করতে পারেন। আমরা স্রেফ মজা করার জন্য আঁক কষবো, ছবি আঁকবো, বিস্তর খেলাধূলা করবো। এসব করতে করতে যদি তেমন একটা ভালো লেগে যায়, তাহলে আর পায় কে। তাই করবো।

আমাদের ভাবখানা হল, মোটর গাড়ি তো বিস্তর জোরে দৌড়ায়। তা বলে কি আমরা দৌড়াবো না? খেয়াল খুশিতে ছুটবো। যদ্দুর প্রাণ চায়।

linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram